২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
খুলনা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি ইমরান জামান কাজল।
আজ ১৬/৩/২০২৪ ইং তারিখ রোজ শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায়, আমি সাংবাদিক কাজল স্বয়ং নিজে আমার শাশুড়ি সবেলা বেগমকে(৪৪) নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে।
বিভাগের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে বহির বিভাগের রোগী দেখানোর জন্য ১০ টাকা দিয়ে বহির বিভাগের একটি টিকিট কাটিয়ে ৩১০ নাম্বার রুমের ফিজিক্যাল মেডিসিনের ডাক্তার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সিকদার এমবিবিএ, বিসিএস, এমডি ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল খুলনা।
উক্ত ডাক্তারকে দেখাতে গিয়ে তিনি প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৮ টিরও বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা লিখে দেন, এবং তার সঙ্গে একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ফর্দ দিয়ে দেন দিয়ে দেন, উক্ত বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এ সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা গুলো করার জন্য পরামর্শ দেন।
যেহেতু একশ্রেণীর ডাক্তার নামক কমিশন এজেন্ট প্রতিনিধিরা, এ ধরনের ফর্দগুলো তাদের নিকট রেখে দেয়,উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একটি নির্দিষ্ট অংকের পরীক্ষা নিরীক্ষার কমিশন প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে এ সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দিকে সাধারণ রোগীর সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
তার কারণ হলো এ সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে ব্যয় করা অর্থের একটা বড় অংকের অর্থ উক্ত ডাক্তারগণ ঐ সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে কমিশন হিসেবে পেয়ে থাকেন।
তারই প্রমাণস্বরূপ আমাকে তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ আলাউদ্দিন সিকদার, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলনা শাখার একখানা ফর্দ ধরিয়ে দেয়,এবং উক্ত ফরদের পিছনে লিখে দেয় যে, রোগের নাম সবেলা বেগম (৪৪), তাহাকে সামগ্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সকল খরচের উপর ২০/:পার্সেন্ট লেস করে এ সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা গুলো করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে, এবং উক্ত ফরদে তিনি তাহার স্বাক্ষর করিয়া, সীলমোহর মেরে দেন।
যেখানে এই সকল সমূদয়ে সকল পরীক্ষাগুলো, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, সচারচর করা যায়, কিন্তু খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সকল পরীক্ষার সমূহ করলে উক্ত ডাক্তার কোন প্রকার কমিশন পাবেন না বিধায়, রোগীকে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দিকে ধাবিত করে দেয়।
আর অপরদিকে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কথা না বললেই নয়, সকল ডায়গনস্টিক সেন্টারে রোগীদেরকে পকেট খালি করে দেওয়ার সর্বপ্রকারের ব্যবস্থাই থাকে। এ সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতিটি পরীক্ষার ফি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে থাকে।
তাইতো ডাক্তার কমিশনপ্রাপ্তির জন্য প্রতিটি রোগীকেই বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য উপদেশ দেন।
তাইতো আমি শিল্পীর ভাষায় বলতে বাধ্য হচ্ছি,ডাক্তার চাইবেন রক্ত রিপোর্ট ডায়াগনস্টিকের সন্ধান ও তিনি দিবেন, একশত টাকা যদি ডায়াগনস্টিকের বিল হয় অর্ধেক দালালী তিনিই নিবেন। রোগীরা তো রোগী নয় খদ্দের এখন, খদ্দের পাঠালেই কমিশন, ক্লিনিক আর ডাক্তার কি টুপি পড়াচ্ছে বুঝছে না গর্ধব জনগণ,আজ মনে হয় এই কথাটাই সত্য।
আর শিল্পীর এই ভাষার বাস্তবতা আজ একজন সাংবাদিকের জীবনে ঘটে গেল। সাংবাদিকের রোগীকেই একখানা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ফর্দ হাতে ঝুলিয়ে দিয়ে এবং উক্ত ফর্দের পিছনে সিলমোহর মেরে দিয়ে ২০% লেস লিখে দিয়ে রোগীদের ভারী উপকার করছেন। কিন্তু হাস্যকর বিষয় হচ্ছে এটাই যে আসলে কি রোগী কোন প্রকার উপকৃত হচ্ছে সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে। বরং তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আর্থিকভাবে।
আবার যদি বড় করে লেখা থাকে সেই খুলনা মেডিকেল কলেজের দেওয়ালে, যে আমি ও আমার খুলনা মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত সকল চিকিৎসক ও কর্মচারীরা সকলেই সাধু।
এটাই কি তাদের সাধুতার পরিচয়, যেখানে গিয়ে প্রতিটা পদে পদে শিকার হতে মানুষ এবং সাধারণ জনগণকে আর্থিক ও মানসিকভাবে, সুতরাং সাধারণ সর্বস্তরের সকল এলাকার সকল বিভাগের সকল জেলার সকল থানার সকল জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলছি এ সকল দালালি ব্যবসা আর কোনদিনই করতে দিব না বাংলার মাটিতে, এ সকল ডাক্তার নামক দালালদেরকে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়,খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক কমিটির সদস্যরা, খুলনা সিভিল সার্জন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক,এবং সকল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান রইল এইটাই যে,এই সকল দালালের হাত থেকে সাধারণ জনগণের চিকিৎসার মান সঠিক ও সমুন্নত রাখার জন্য সর্বদা আইন প্রশাসন ব্যবস্থা কে জোরদার রাখবেন, আর এটাই আমাদের সাধারণ জনগণ হিসেবে সকলের কামনা।